
শামসুল আলম শারেক,টেকনাফ:
টেকনাফের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রঙ্গিখালী দারুল উলুম ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসা মাঠে ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতার নেতৃত্বে কিছু অসাধু ব্যাক্তি। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অভিভাববক এবং ছাত্রদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে বিশৃংল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাঠের পাশাপাশি অপর একটি মহিলা মাদরাসা এবং মাঠ সংলগ্ন একটি মসজিদ থাকা সত্ত্বেও বহিরাগতদের দিয়ে মাদরাসা মাঠে টুর্নামেন্ট আয়োজন রীতিমত মাদরাসার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির প্রচার পত্রের মাধ্যমে জানাগেছে, ১২ ডিসেম্বর উদ্বোধনী খেলা অনুষ্টিত হওয়ার কথা রয়েছে। উক্ত টুর্নামেন্ট পরিচালনা করতে মাদরাসা গভর্ণিং বডির কোন ধরণের অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিশ্বস্থ সুত্রে জানাগেছে, কমিটির সভাপতি বা সংশ্লিষ্ট কেউ মাদরাসা মাঠে বহিরাগতদের দিয়ে ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করতে অনুমতি দেননি। বিএনপি ও যুবদল সমর্থিত একটি চক্র প্রভাব কাটিয়ে মাদরাসা মাঠে ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছেন। গভর্ণিং বডির সভাপতিসহ পুরো মাদরাসা সংশ্লিষ্টদের পাশ কাটিয়ে অনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাদরাসা এবং মসজিদ সংলগ্ন মাঠে ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন মাদরাসার ভাবমুর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন করবে। এদিকে টুর্ণামেন্টটি আয়োজন হলে বিএনপি এবং যুবদলের দুয়েকজন নেতার কারণে দলের সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের অনেকে। তৃণমুল বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাদরাস মাঠে অনুমোদন বিহীন পরিচালিত উক্ত ফুটবল টুর্ণামেন্ট বন্ধে জেলা বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. হাসান সিদ্দিকীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বহিরাগতদের দিয়ে একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডির অনুমতি বিহীন ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আবু হানিফ দাবী করেন অনুমতি নেওয়া হয়েছে। কমিটি বা সংশ্লিষ্টদের কেউ অনুমতি দেয়নি অপর এক প্রশ্নের জবাবে আহবায়ক কমিটির এই সদস্য বলেন, অনুমতি পেলে খেলা চলবে। আর না পেলে চলবেনা। স্থানীয় মেম্বার জামাল হোসাইন জানান,বিএনপির কিছু লোকজন মাদরসা মাঠে ফুটবল খেলার আয়োজন করছে। এটি দু:খজনক। তবে তিনি বিষয়টিতে শংকার কথা জানিয়েছেন। গভর্ণিং বডির অন্যতম সদস্য ও অভিভাবক নুরুল বশর জানান,মাদরাসা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে অধ্যবদি বহিরাগতদের দিয়ে এভাবে টুর্ণামেন্ট আয়োজন করতে দেখিনি। গভর্ণিং বডির সংশ্লিষ্ট কারো অনুমতি নেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে তা আমরা জানিনা। এটা মাদরাসার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিক্ষর হবে জানিয়ে তিনি খেলা বন্ধের দাবী জানান। এ বিষয়ে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল আলমের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার রিং করা হয়। মোবাইল রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মো: ইমামুল হাফিজ নাদিমের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মাদরাসা গভর্ণিং বডির সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, মাদরাসা মাঠে বহিরাগতদের টুর্নামেন্ট পরিচালনার কোন এখতিয়ার নেই। আয়োজক সংশ্লিষ্টদের কেউ মাদরাসা গভর্ণিং বডি থেকে কোন প্রকার অনুমতি নেননি। জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন,খেলার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আপনাকে প্রধান অতিথি করা হচ্ছে মর্মে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি পরিস্কার ভাষায় বলেন,আমি ওখানে যাবোনা।##

পাঠকের মতামত